দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সব ধরনের আলুর দাম, সেই সঙ্গে বেড়েছে ডিম ও কাঁচামরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি রোমানা জাতের আলু ৫ টাকা কমে ২০ টাকায় এবং কাটিলাল জাতের আলু ২ টাকা কমে ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি খাচি (৩০টি) ডিম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩০ টাকায় এবং কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দেশের বাজারে উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে বেড়েছে দাম। অন্যদিকে বিভিন্ন অজুহাতে খামারগুলোতে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান। হঠাৎ করে ডিম এবং কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা দিদারুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। যার জন্য হিলি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। প্রতি কেজি রোমানা জাতের আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫ টাকা কমে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং কাটিলাল ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ২ টাকা কমে ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আরও দাম কমতে পারে বলেও জানান এই বিক্রেতা।

হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, কিছু দিন থেকে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচামরিচের উৎপাদন কমে যাওয়াতে মোকামগুলোতে সরবরাহ কমে গেছে। যার জন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে কমতে পারে দাম বলেও জানান তিনি।

হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা পারভেজ সোনার বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি খাচি (৩০টি) ডিম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; যা গত তিন দিন আগেও ২৮০ টাকা (৩০টি) ডিম বিক্রি হয়েছে। খামার মালিকরা বিভিন্ন অজুহাতে ডিমের দাম বৃদ্ধি করাতে খুচরা বাজারে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।